নাম তার ফারজানা জামান নেহা ওরফে ডিজে নেহা। এই সুন্দরী রমণী কুইন নেহা নামেও তার চক্রে পরিচিত। রাতে
তার পরনে থাকে প্রায় অর্ধ উ`লঙ্গ ওয়েস্টার্ন ড্রে`স। চালচলনে বি`কৃত রকমের আ`ভিজাত্যের ছাপ। দিনে ঘুম, রাতে
ডিজে ও ম`দের পা`র্টিতে অ`শ্লীল রকমের নাচ। লাল-নীল আলো আঁধারে ঠোঁটে শিশার পাইপ দিয়ে স্লো মোশনে ধোঁয়া
ছাড়া যার নেশা। কখনওবা হাতে দামি বিদেশি ম`দের বোতল নিয়ে চুমো দেয়া তার ফ্যাশন। নামি-দামি ব্রা`ন্ডের গাড়ি
নিয়ে ঘুরে বেড়ানো এই রমণী বাগে আনা ধনী পরিবারের তরুণ-তরুণীদের দিয়ে করান র`মরমা দে`হ ব্যবসা। এক
কথায় ওয়ে`স্টার্ণ ধাঁচে চ`লাফেরা করা রূ`পের ঝলক দেখানো ডিজে নেহা নানান কুক`র্ম ও অ`শ্লীলতার মধ্যেই ডুবে ছিলো।
একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে অতিরিক্ত ম0দপান করিয়ে ধ0র্ষ0ণ ও হ0ত্যার ঘ0টনায় দায়ের করা মামলায়
গ্রে0ফতার হন ফারজানা জামান নেহা ওরফে ডিজে নেহা। মৃত ছাত্রীর বাবার দায়ের করা মা`মলায় অ`ন্যতম আ`সামি
এই নেহা। গ্রে`ফতারের পর মা`মলা সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ৫ দিনের পু`লিশি হেফাজতে নেওয়া হয়। পু`লিশি জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এসেছে চা`ঞ্চল্যকর তথ্য।
রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রি0মান্ডের তৃতীয় দিনে ডিজে নেহার ফোনবুকে পু0লিশ ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের
ডজনখানেক শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীর নাম্বার পেয়েছে। যেগুলো সাংকেতিকভাবে সংরক্ষণ করা। এসব ধনাঢ্যদের অনেকের
কাছে ম0দ, তরুণী সরবরাহ করতেন তিনি। কখনও কখনও নেহা নিজেই তাদের সঙ্গ দিয়েছেন। বিনিময়ে তাদের কাছ
থেকে হাতিয়েছেন মোটা অঙ্কের টাকা।তদন্তসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, ডিজে নেহার পছন্দের মোবাইল ফোনে (আইফোন) টার্গেট করা ব্যবসায়ী ও ধনী যুবকদের নম্বর ‘ক্লায়েন্ট-১’, ‘ক্লায়েন্ট-২’, ‘ক্লায়েন্ট-৩’ এমন
ধারাবাহিকভাবেই সংরক্ষণ করা আছে। কারও কারও নাম সংক্ষেপে প্রথম বর্ণ দিয়েও সংরক্ষণ করা।
জিজ্ঞাসাবাদে নেহা জানিয়েছেন, গত বছরের মার্চে চট্টগ্রামের এক গাড়ি ব্যবসায়ীর সঙ্গে একটি পার্টিতে তার পরিচয় হয়। এরপর ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে কৌশলে ৬ মাসে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন নেহা। এরই মধ্যে ওই গাড়ি ব্যবসায়ীর এক ফেসবুক বন্ধুর সঙ্গেও পরিচয় হয় নেহার। সেপ্টেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত নেহা ঢাকার ওই গাড়ি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকার বেশি হাতিয়েছেন। নেহার ব্যবহৃত ১ লাখ ৩৭ হাজার টাকা দামের আইফোন টুয়েলভ প্রো ম্যাক্স ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকেই নেয়া। এভাবেই আরো অনেক ব্যবসায়ীকে মাদক ও নারী সঙ্গের জালে জড়িয়েছিলেন নেহা। নেহার এসব কাজে সহযোগিতা করতেন তারই চাচাতো ভাই শাফায়াত জামিল বিশাল। বিশাল সার্বক্ষণিক নেহার সঙ্গেই থাকতেন।
২৮ জানুয়ারি উত্তরার ব্যাম্বু স্যুট রেস্টুরেন্টে ইউল্যাব শিক্ষার্থীদের মদপান করাতে নেহা ও তার খুব কাছের বন্ধু আরাফাত পার্টির আয়োজন করেন। ম0দপা0নের পর অসুস্থ হয়ে আরাফাতও মা0রা গেছেন। সেদিন নেহার ফোনেই তার চাচাতো ভাই শাফায়াত জামিল ওরফে বিশাল এয়ারপোর্ট এলাকা থেকে ম0দ কিনে নিয়ে যায় ওই রেস্টুরেন্টে।নেহা পু0লিশকে জানিয়েছেন, খ0দ্দেরদের তালিকা সংরক্ষণ করতেন বিশাল। এছাড়াও অ0বৈধ দরদামে সে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে দায়িত্ব পালন করতেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী মাধুরীর মৃ0ত্যুর পর তার বাবার মা0মলায় অজ্ঞাত আ0সামি হিসাবে নিজেই আ0দালতে গিয়ে আ0ত্মসমর্পণ করেন বিশাল। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। এছাড়া ওই ছাত্রীর ছেলে বন্ধু আরিফ এবং তাদের বাসায় আ0শ্রয়দাতা তাফসিরও কারাগারে আটক রয়েছেন।পু0লিশের তেজগাঁও বিভাগের ডিসি হারুন
এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি নেহা আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে বলেছেন, গত ২৮ জানুয়ারি আমার বন্ধু আরাফাতের নিমন্ত্রণে উত্তরার ব্যাম্বুসুট রেস্টুরেন্টে যাই। সেখানে গিয়ে আরো কয়েকজনকে দেখতে পাই। আমি আরাফাত ছাড়া অন্য কাউকে চিনতে পারিনি। সেখানে আমি মদপান করি। ৩ পেগ পান করার পর আমার মুখ দিয়ে রক্ত বের হয় এবং বমিও হয়। আমি তখন সেখান থেকে বাসায় চলে যাই। বাসায় যাওয়ার পরও আমার কয়েক দফা বমি হয়। এমন পরিস্থিতিতে আমি হাসপাতালে চিকিৎসা নেই।ওই ছাত্রী মারা যাওয়ার ঘ0টনায় করা ধ0র্ষ0ণ ও হ0ত্যা মা0মলার সব আ0সামিকে গ্রে0প্তার করা হয়েছে। সব ফরেনসিক রিপোর্ট পেলে পুলিশ মা0মলার চার্জশিট জমা দেবে।
Discussion about this post