বরগুনায় আমতলী উপজেলার একটি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও তাঁর স্ত্রীও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। উপজেলা প্রশাসন আক্রান্তদের বাড়িসহ পাঁচটি বাড়ি লকডাউন করেছে।
এ নিয়ে উপজেলায় ১১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ১ জন মারা গেছেন। ১০ এপ্রিল থেকে উপজেলাটি লকডাউন অবস্থায় আছে।
জানা গেছে, আমতলী উপজেলার এই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ কয়েকজন চেয়ারম্যান সম্প্রতি বিশেষ কাজে ঢাকায় যান। ঢাকা থেকে আসার পরপরই এই চেয়ারম্যানের শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেয়। তাঁর অবস্থা খারাপ দেখে গত বৃহস্পতিবার পরিবারের লোকজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খবর দেয়। ওই হাসপাতাল থেকে একটি দল এসে চেয়ারম্যান ও তাঁর স্ত্রীর নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়।
ঢাকা রোগতত্ত্ব রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইসিডিআর) থেকে আজ শনিবার দুপুরে চেয়ারম্যানের নমুনা প্রতিবেদন আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসে। সেখানে তিনি করোনা পজিটিভ বলে জানানো হয়। এর চার ঘণ্টা পর বিকেলে তাঁর স্ত্রীরও করোনাভাইরাসে আক্রান্তের প্রতিবেদন আমতলী হাসপাতালে আসে।
চেয়ারম্যান ঢাকা থেকে আমতলীতে আসার পর তিনি তাঁর ইউনিয়নের বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিলেছেন। এতে চাওড়া ইউনিয়নের মানুষের মধ্যে অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, চেয়ারম্যান ও তাঁর স্ত্রী কয়েক দিন ধরেই অসুস্থ। তাঁদের দেখতে রাজনৈতিক নেতাসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন লোক বাড়িতে এসেছেন। এলাকার মানুষ খুবই আতঙ্কে আছে।
বরগুনা সিভিল সার্জন মো. হুমায়ূন শাহীন খাঁন বলেন, চেয়ারম্যান দম্পতি বাসায় আইসোলেশনে আছেন। তাঁদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
করোনা প্রতিরোধ কমিটির প্রধান বরগুনা জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, আক্রান্তদের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা হবে। পাশাপাশি তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে ।
Discussion about this post